প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, 'কিছু মানুষ আছেন, তারা বলেন- দেশের অবস্থা ভালো না। কেন ভালো না তা তারা বলতে পারেন না।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গ্রামের মানুষের উন্নয়ন করছি। এটা তাদের ভালো লাগে না। এরা বিভিন্ন সরকারের সময়ই সুযোগ সুবিধা নিতে চায়। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে তাদের পাওয়ায় বোধ হয় টান পড়ে। তাই তারা বলেন- দেশের অবস্থা ভালো না।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তারা কি বিএনপি সরকারের সময়কার কথা ভুলে গেছেন? তখন প্রতিদিনই দেশে বোমা ফুটতো। ৬৩ জেলায় এক সঙ্গে বোমা ফুটেছিলো। বাংলা ভাইয়ের অত্যাচার-নির্যাতন বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছিলো। বাংলাদেশ এখন আর সেই জঙ্গিবাদের দেশ নেই। উন্নয়নের মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচয় লাভ করেছে।' শনিবার সকালে গণভবনে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু প্রতিদিন বোমা না ফাটলে বোধ হয় কিছু লোকের ভালো লাগে না। তাই তাদের মনে শান্তি নেই। মানুষ শান্তিতে থাকলে তারা অশান্তিতে থাকেন।' তিনি বলেন, 'বিএনপি আমলে যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে সেটাও পত্রপত্রিকায় লেখা যেতো না। লিখলেই তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন নেমে আসতো। কিন্তু আমাদের সময় পত্রপত্রিকাগুলো স্বাধীনতা ভোগ করছে। সব কিছুই লিখতে পারছে। এমনকি ভুয়া তথ্য দিয়েও লেখালেখি হচ্ছে। এরপরও তারা বলছে- দেশের অবস্থা ভালো না। আসলে তারা মানুষের শান্তি চায় না।' 'আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অগণতান্ত্রিক কোন শক্তি যাতে আর জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিতে না পারে সংবিধান সংশোধন করে সে অধিকার নিশ্চিত করেছি।' তিনি আরো বলেন, "যারা ভালো দেখেন না, তারা চান না মানুষ একটু ভালো থাকুক। জনগণ স্বস্তিতে থাকুক। আমরা যখন গরিব মানুষকে দিচ্ছি, তখন তাদের যত হা-হুতাশ। গ্রামের মানুষের কোনো হা-হুতাশ নেই।" "মিডিয়া টক'শোতে এক চিত্র, আর গ্রামে গেলে আরেক চিত্র," যোগ করেন শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি
২০২১ সালের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দ্রব্যমূল্য হ্রাস ও মহামন্দা রোধ, দুনীতি দমন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগ দিন বদলের সনদ নামে ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে৷ ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গিকার করা হয়েছে৷ ২০২১ সালকে টার্গেট করে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে৷ এ প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালে অর্থাৎ ৪ বছরের মধ্যে দেশকে পুনরায় খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল করা, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, বেকারত্বের হার ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ৪৫ শতাংশ থেকে ২৫-এ নামিয়ে আনা, ৱাতক পর্যন্ত শিক্ষাকে সবার জন্য অবৈতনিক করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার-এই শ্লোগানের ভিত্তিতে রচিত এ ইশতেহার ভিশন-২০২১ নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণী যারা প্রথম ভোটার হয়েছেন তাদেরকে উৎসর্গ করেন৷ ইশতেহারে গভীর সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে উন্নয়ন, গণতন্ত্র, শান্তি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করা হয়৷ চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, দ্রব্য মূল্য সন্ত্রাসী সিণ্ডিকেট ভেঙে দেয়া, বিশ্ব-মন্দা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন এবং তথ্য বিশ্লেষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথা ইশতেহারে বলা হয়েছে৷জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে৷ আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হবে ২০ হাজার মেগাওয়াট৷ ৩ বছর মেয়াদি ক্র্যাস প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করাসহ বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে৷
শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ নিশ্চিত করা, নতুন শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করে শিক্ষা-ব্যবস্থা আধুনিক, ২০১৩ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা এবং ২০১৫ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা হবে৷ ঢাকায় আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, পদ্মা সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌ পথের আধুনিকায়ন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে৷ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতি সত্তা ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বাতিল করা হবে৷ সার্ক, বিমসটেকসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং ইসলামিক উম্মাহর সংহতি ও ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা উন্নততর করা হবে৷ সমমর্যাদার ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে ‘সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এই নীতির ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হবে৷সমগ্র জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করে নতুন প্রজন্মকে সুন্দর ও সফল ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা
Thursday, June 7, 2012
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, 'কিছু মানুষ আছেন, তারা বলেন- দেশের অবস্থা ভালো না। কেন ভালো না তা তারা বলতে পারেন না।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গ্রামের মানুষের উন্নয়ন করছি। এটা তাদের ভালো লাগে না। এরা বিভিন্ন সরকারের সময়ই সুযোগ সুবিধা নিতে চায়। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে তাদের পাওয়ায় বোধ হয় টান পড়ে। তাই তারা বলেন- দেশের অবস্থা ভালো না।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তারা কি বিএনপি সরকারের সময়কার কথা ভুলে গেছেন? তখন প্রতিদিনই দেশে বোমা ফুটতো। ৬৩ জেলায় এক সঙ্গে বোমা ফুটেছিলো। বাংলা ভাইয়ের অত্যাচার-নির্যাতন বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছিলো। বাংলাদেশ এখন আর সেই জঙ্গিবাদের দেশ নেই। উন্নয়নের মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচয় লাভ করেছে।' শনিবার সকালে গণভবনে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু প্রতিদিন বোমা না ফাটলে বোধ হয় কিছু লোকের ভালো লাগে না। তাই তাদের মনে শান্তি নেই। মানুষ শান্তিতে থাকলে তারা অশান্তিতে থাকেন।' তিনি বলেন, 'বিএনপি আমলে যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে সেটাও পত্রপত্রিকায় লেখা যেতো না। লিখলেই তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন নেমে আসতো। কিন্তু আমাদের সময় পত্রপত্রিকাগুলো স্বাধীনতা ভোগ করছে। সব কিছুই লিখতে পারছে। এমনকি ভুয়া তথ্য দিয়েও লেখালেখি হচ্ছে। এরপরও তারা বলছে- দেশের অবস্থা ভালো না। আসলে তারা মানুষের শান্তি চায় না।' 'আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অগণতান্ত্রিক কোন শক্তি যাতে আর জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিতে না পারে সংবিধান সংশোধন করে সে অধিকার নিশ্চিত করেছি।' তিনি আরো বলেন, "যারা ভালো দেখেন না, তারা চান না মানুষ একটু ভালো থাকুক। জনগণ স্বস্তিতে থাকুক। আমরা যখন গরিব মানুষকে দিচ্ছি, তখন তাদের যত হা-হুতাশ। গ্রামের মানুষের কোনো হা-হুতাশ নেই।" "মিডিয়া টক'শোতে এক চিত্র, আর গ্রামে গেলে আরেক চিত্র," যোগ করেন শেখ হাসিনা।


nice and informative post.
ReplyDeletevisit >->Live Technology-A Technology Blog
good- www.paybd.org
ReplyDelete